গুপ্তচর ডেস্ক:
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালটিতে রয়েছে রোগীদের চেয়ে দালালাদের কদর। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হাসান মাহমুদ ও তার সহধর্মিণী আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ নিলা ইশরাক সুলতানার সিন্ডিকেটে দীর্ঘদিন যাবত সরকারি হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অসচ্ছল ও দরিদ্র রোগীরা। বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে।এমনকি হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় সরকারি হাসপাতালের আশপাশে বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতাল গুলোতে চেম্বার করে রোগী দেখার অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের বিরুদ্ধে ।
সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিলা ইসরাক সুলতানার ভুল চিকিৎসায় বিভিন্ন সময় প্রসুতী নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও ঘেরাও করে রাখে রোগীর স্বজনরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হাসান মাহমুদের সহধর্মিনী হওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের মালিকগণ মুখ খুলতে পারেন না এই চিকিৎসক দম্পত্তির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। মনোহরদী সরকারি হাসপাতালের সামনে অবস্থিত এন আর এস (প্রাঃ) হাসপাতালে সরকারি সেবা রেখে নিয়মিত বেসরকারি ভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এই রাশেদুল-নীলা দম্পতি । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যে।
ভিডিওগুলোতে লক্ষ্য করা যায় যে, ডাঃ নিলা ইসরাফ সুলতানা সরকারি হাসপাতালের ডিউটি রত অবস্থায় এন.আর.এস প্রাইভেট হাসপাতালে অবস্থান করছেন অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী মৃত্যুশয্যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে মনোহরদী সরকারি হাসপাতালের নৈশ্য প্রহরী উজ্জল একজন আহত মুমূর্ষ রোগীর ক্ষতস্থান সেলাই করছেন বিষয়টি দেখে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় । এমন কি মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব সি.সি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিওয়ে দেখা যায় এই হাসপাতালের দালালের দৌরাত্ম, দালাল সিন্ডিকেটে হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যায়। বিশেষ সূত্রে জানা যায় সরকারি হাসপাতালের সামনে অবস্থিত এনআরএস প্রাইভেট হাসপাতালটি স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃরাশেদুল হাসান ও তার সহধর্মীনির নামে বেনামে করা একটি হাসপাতাল।
নিলা,রাশেদ,শিমুল,শহিদুল,সুজন(এন. আর. এস) সংক্ষিপ্ত রুপে হাসপাতালটির নামকরণ করা হয়।মনোহরদী সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন শয্যা কক্ষে কুকুর বিড়ালের আবির্ভাব রয়েছে, এ সকল পশুর আতঙ্কে রোগী ও রোগীর স্বজনরা সবসময় আতঙ্কে থাকে,এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে মোমের আলোতে ইমারজেন্সি বিভাগের মুমূর্ষু রোগীর সেলাইটা করছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। হাসপাতালে ভর্তি হাওয়া রোগীদের খোঁজখবর নেন না হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তাররা, শুধুমাত্র নার্সদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।চলবে,,,,
Leave a Reply