গুপ্তচর ডেস্ক :
টাকা,পেশিশক্তি ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে মাধবদীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভার দুইবারের মেয়র হয়ে যান মোঃ মোশারফ হোসেন মানিক। মেয়র হওয়ার পর তিনি মাধবদীর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী তাঁতিদের প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিমিটেডের সভাপতিও হয়ে যান। এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে তিনি বা তার পূর্ব পুরুষরা তাতি না হলেও উত্তর নওপাড়া তন্তবায় সমবায় সমিতির সদস্যপদ নেন মানিক। নিয়ম অনুযায়ী তাতি না হলে কেউ এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে সদস্য হতে পারবে না। কিন্তু মেয়র বলে কথা! তার ক্ষেত্রে নিয়ম থাকবে কেন?
শুধু তাই নয় যেই সমবায় সমিতির সদস্য পদ নিয়ে তিনি সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিমিটেডের সভাপতি হয়েছিলেন, সেই সমিতির প্রকৃত প্রস্তাবে কোন কার্যক্রম নেই। সাম্প্রতিক সমবায় কর্তৃপক্ষ এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই সমিতিকে বাতিল ঘোষনা করেছে। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি মানিক। ৭০৮ টি দোকান থেকে গোপনে নিচ্ছেন মাসোহারা, ৩০-৪০ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানের মালিকানা হস্তান্তর করছেন তিনি । যেই দোকান থেকে ভাড়া উঠছে মাসে ৫০ হাজার টাকা, সেই দোকান থেকে সমিতিতে জমা হচ্ছে বছরে মাত্র ৫ হাজার টাকা। বাকি টাকা খেয়ে ফেলছে এই মানিক গং। কেননা দোকান মালিকদের সবারই ইজারার মেয়াদ শেষ। দোকানগুলি চলছে সাবলেটে। এতে করে কোটি কোটি টাকা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত তাঁতিদের পরিবার।
কমিটির অন্যান্য সরকারি সদস্যদের সাথে কোন আলোচনা না করে,এককভাবে তিনি এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের চলমান বিশৃংখল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে তাকে এখনো সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। আর এই সুযোগে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন।
অনতিবিলম্বে তার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে, নতুন কমিটি দিয়ে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডারদের ।
চলবে,,,,
Leave a Reply