নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সব সময় পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব এবং নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন। আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর বিএনপির কর্মী সমাবেশে বাদুয়াচর কাজী আবুল হাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ফখর উদ্দিন- মইনুদ্দিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়, ২০১৮ সালে রাতের ভোটের মাধ্যমে এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আমি আর ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। এ সময় জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কি বিগত ১৭ বছরে ভোট দিতে পেরেছেন? উপস্থিত জনতা না সূচক শব্দ করেন। জাতীয় পার্টি কুলাঙ্গার দলকে নিয়ে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করেছে। এ সময় তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা কি আগামী দিনে ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়যুক্ত করতে চান না? সবাই তখন হা সূচক শব্দ করেন। হাজিপুর ইউনিয়নের একজন সাহসী এবং তরুণ নেতাকে সাইফুল চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে প্রকাশ্য দিবালোকে নিশংস ভাবে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। এবং এই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী দিনে এগুলির বিচার হবে। হাজীপুর ইউনিয়ন মানুষের সকল দাবি দাওয়া পূরণ করা হবে।
আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের রায় উচ্চ আদালতে ১০ বছর করেছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। আমার নেতা তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাংলাদেশে যাতে না আসতে পারে সেই রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে না হলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করে।
উক্ত কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জাহিদুল কবির ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন হাজিপুর ইউনিয়নের সদস্য সচিব আব্দুল হান্নান সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেনের বিদ্যুৎ, বিএনপি নেতা গোলাম কবির কামাল, জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান রিফাত ও সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ফকির রনি, চিনিসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ মোল্লা সহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply