গুপ্তচর ডেস্ক:
বেলাব সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে ভূমি উন্নয়নকর আদায় ও নামজারি জমাভাগ (খারিজ) করাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
জানাযায়, বেলাব সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার পদে পদে ঘুষ-দুর্নীতির কারণে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অনলাইনে ভূমি উন্নয়নকর ও নামজারি জমাভাগ এর আবেদন করার পূর্বেই ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে না জানালে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভূমি মালিকদের। কেউ না জানিয়ে আবেদন করলে তার সাথে করা হয় খারাপ আচরণ। তার কাছে ক্ষমা চাইতে এবং অধিক পরিমাণে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে নিরুপায় হয়ে ভূমি মালিকরা তার অনৈতিক আবদার মেনে নিতে বাধ্য হয়। আর এই সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন হয়ে উঠেছে তার ঘুষ বাণিজ্য জমজমাট। সে নিজেকে ভূমি বিভাগের সবোর্চ্চ কর্তা ব্যক্তি হিসেবে প্রচার করে থাকে। ভূমি মালিকদের সে শাষিয়ে বলে, ইউনিয়নের ভূমির বিষয়ে আমি সবোর্চ্চ কর্মকর্তা। ভূমি বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরাও ইচ্ছে করলেও ভূমির খারিজ প্রদান ও ভূমি উন্নয়নকর আদায় করতে পারবে না। এখানে একক ক্ষমতা আমারই, তাই এসব বিষয়ে আমি যা বলি তা-ই করতে হবে। তার ঘুষ বাণিজ্য হয়রানির কারণে ভূমি উন্নয়নকর দিতে আসা ভূমি মালিকরা কর না দিয়েই ফিরে যাচ্ছে, এবং কমে গেছে নামজারি জমাভাগের হার, এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এব্যাপারে ভোক্তভোগীরা উক্ত ভূমি কর্তকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ হয়রানির লাঘবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সূত্র জানায়, অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে উক্ত ভূমি কর্মকর্তা নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ। বিভাগীয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাধ্যমে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে তার বিপুল সম্পত্তির রহস্য।
ভূমি মালিকদের হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমার অফিসে কোনো কাজ পেন্ডিং থাকে না, এসব দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা। চলবে…।
Leave a Reply