গুপ্তচর ডেস্ক:
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নতিকরনও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত।এটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা।
নরসিংদীতে এই অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,কোন কাজ না করেই শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।আবার যেখানে কাজ হচ্ছে সেখানে অতিরিক্ত বাজেট তৈরি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন এই অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা।নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত বাজেট তৈরি করছেন,যেভাবে কাজটি হওয়ার কথা সেভাবে করছেন না তারা।প্রতিটি কাজেই হচ্ছে দুর্নীতি।
আবার খাতা কলমে কাজ রয়েছে কিন্তু বাস্তবে কোন কাজই হয়নি,এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা পকেটে নিচ্ছেন তারা।
নরসিংদীতে অসংখ্য প্রকল্পের কাজ,ভুয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বাস্তবায়ন দেখিয়ে নিজেদের মন মত বিল করে খাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ।আর এতে করে সরকারের শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে।উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নরসিংদীবাসী। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা নরসিংদী বাসির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারের দেওয়া বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এসব বিষয় নিয়ে সরেজমিনে নরসিংদী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়।কিন্তু তারা গত অর্থ বছরের বাজেট এবং কি কাজ করেছেন তার তালিকা চাইলে সেটি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে প্রথমে কথা হয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার হোসেনের সাথে।তিনি জানান,বাজেট এবং কাজের তালিকা আমি দিতে পারবো না,আপনারা সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলুন।
কথা হয় সহকারী প্রকৌশলী মুজাহিদুল আলম এর সাথে।তিনি বলেন, ওই বাজেটের সময় আমি ছিলাম না,আপনি না থাকলেও নরসিংদীতে বিগত দিনে কি কাজ হয়েছে তার তালিকা তো আপনার কাছে থাকবে,এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাদের এখান থেকে তথ্য দেওয়া নিষেধ।আপনি গাজীপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলুন উনার কাছ থেকে তথ্য নিন।
মোবাইলে ফোন দেওয়া হয় গাজীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজনীন আক্তার কে।তিনি বলেন আপনি হেড অফিসে যোগাযোগ করুন।বাংলাদেশ তথ্য অধিকার একটি আইন আছে ,আপনার কাছে কেউ তথ্য চাইলে, সেই তথ্য দিতে আপনি বাধ্য অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে,আপনারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন সেই বিষয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট হবে।নরসিংদীর তথ্য আপনার কাছে আমি চাইবো কেন? নরসিংদীতে যারা দায়িত্বে আছেন তারা আমাদের তথ্য দিবেন।তিনি এক কথায় জানিয়ে দেন আপনি রিপোর্ট এবং মামলা করুন।
অর্থাৎ দুর্নীতির টাকা সবাই একসাথে মিলেমিশে খাচ্ছেন।বাজেট এবং কাজের বিবরণ দিলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। তাই সবাই মিলে মঞ্চস্থ করেছেন এই নাটক।তাদের ধারণা তথ্য না পেলে সাংবাদিক রিপোর্ট করতে পারবেনা।তাদের দুর্নীতির কথাও কেউ জানবে না।
এই বিষয়ে দুদক এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে নরসিংদীবাসী।বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
Leave a Reply