
গুপ্তচর প্রতিবেদক
নরসিংদী রেল স্টেশন যেন পরিণত হয়েছে লুটপাটের রাজ্যে। নরসিংদী স্টেশন মাস্টারের দায়িত্বে থাকা এটিএম মুসার বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ২০১৯ সালে প্রথম যোগদান করেন তারপর তিনবার এখান থেকে বদলি হয়ে আবার নরসিংদীতেই আসেন। ২০২৪ সালে যোগদান করে তিনি হয়ে যান অনেক বেশি বেপরোয়া।কৃষি জমি লিজ নিয়ে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ, স্টেশনের শত শত দোকান থেকে মাসোহারা আদায়সহ কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এই রেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুসার বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলা হাজিপুরে। মুসা সাবেক এমপি হিরোর ভাতিজা শিহাবের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে স্টেশনের দোকান বরাদ্দ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসা আওয়ামী দোসর। পল্টিবাজ মুসা এখন বিএনপির নাম বিক্রি করেছে।দোকান প্রতি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এসব অবৈধ দোকান থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মুসা ও তার সিন্ডিকেট।
অভিযোগ রয়েছে, বৈধভাবে বরাদ্দ পাওয়া দোকানদারদের কাছ থেকেও মাসিক মাসোহারা ছাড়া ব্যবসা চালানো সম্ভব হয় না। স্টেশন এলাকায় একাধিক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে নামমাত্র অভিযানের আয়োজন হলেও মুসার পৃষ্ঠপোষকতায় সবকিছুই থেকে যায় আগের অবস্থায়।
স্থানীয়রা জানান, মুসার এই লুটপাটের খুঁটির জোর উচ্চ মহলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মুসার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ” আমার কাছে রেলওয়ের কাগজপত্র আছে। সেই কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাকে আমি দেখাবো কেন, আপনি কে??
নরসিংদী রেল স্টেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এখন দেখার বিষয়, মুসার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়।
Leave a Reply