গুপ্তচর ডেস্ক:পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসীর পক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,এনায়েত হোসেন দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর ডাঙ্গা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল।বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত।ফলে ডাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।তাই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্লোগান টি ব্যাহত হচ্ছে।অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে।কোন অফিসার হাসপাতালে নতুন যোগদান করলে তাকে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ান এনায়েত হোসেন।পরে কৌশলে সে অফিসারকে জিম্মি করে তার উদ্দেশ্য হাসিল করেন।অফিস সহকারীর পাসওয়ার্ড তার কাছে জিম্মি থাকে,এবং সে পাসওয়ার্ড গোপন করে তার স্বার্থসিদ্ধি করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,যারা করোনার টিকা অনলাইন করেনি,তাদের অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছে সে।কোন প্রশিক্ষনের নামে টাকা-পয়সা আসলে সেই টাকা ভুয়া বিল ভাউচার করে সে উত্তোলন করে খায়।শিশুদের শিশু কার্ড দিয়ে টাকা গ্রহণ করে যা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা।মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের জিম্মি করে রিপোর্ট রিটার্নের কথা বলে টাকা আদায় করে,টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অফিসারদের কাছে তাদের হয়রানি করে।অন্য স্টাফদের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে সে নিজে থাকে।এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।তার নিজ কাজকর্ম ছাড়াও দাপ্তরিক কাজকর্মে সে সবসময় নাক গলায়।যে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ সে করে থাকে।সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেই দায়িত্ব পালন করছেন,তাকে ছাড়াও অত্র অফিসে কাজ করার মত অনেক দক্ষ লোক রয়েছে।তা সত্ত্বেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে সে নিজেই কাজ করে থাকে।আর সে কারণেই তার কাছে অনেকে জিম্মি।
শুধু তাই নয় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের কাজকর্মও করে এবং টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়।এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়মও দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানীমূলক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীদের।
Leave a Reply