গুপ্তচর ডেস্ক:
এখনো ঠিক হয়নি আগামী নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবে নরসিংদীর পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনেই বিএনপি’র প্রার্থী মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু বেলাব মনোহরদীতে রয়েছে জটিল সমীকরণ। কেননা এখানে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার দাবীদার। এরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে.কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জয়নুল আবেদীন, এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। এরই মধ্যে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন বেলাব মনোহরদীর দুই বিএনপি নেতা বকুল ও জয়নুল।তাদের একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে মনোহরদীর গরুবাজার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়। ১০-১২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার ৭ ডিসেম্বর মনোহরদীর চালাকচর বাজারে জয়নুল গণ সংযোগ করতে গেলে বকুল সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে রক্তাক্ত সংঘর্ষে আহত হয় ২০ জন।তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় অসংখ্য মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বকুলের ইন্ধনে এবং মদতে বকুল সমর্থকরাই প্রথম হামলা চালায়। আর নীরব ভূমিকা পালন করে প্রশাসন। কেননা বেলাবো মনোহরদীতে এখনো বকুলের কমিটি রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব কমিটির নেতারা নিজেদের এখনও সভাপতি ভাবেন। পুলিশ, প্রশাসন তাদের সেভাবেই মূল্যায়ন দিচ্ছে। আর তার সুযোগ নিয়ে বেলাবতেও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বকুল সমর্থকরা। বেলাবো বিএনপির আহ্বায়ক বিপ্লবের নির্দেশে নিজেদেরই কর্মী বেলাবো বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সবদর আলীর দুই নাতি রাসেল ও বুলুর উপর নিশংস হামলা চালিয়েছিল বকুল সমর্থকরা । এই হামলার পর বুলু এখন আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন রাসেল। বেলাবরের আরেক ছাত্রনেতা সারোয়ার বিনা দোষে স্বৈরাচার হাসিনার অত্যাচারে কারাবরণ করার পর, বকুল সমর্থকরা খোঁজখবর না নিলে, বর্তমানে জুয়েলের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে সক্রিয়ভাবে। বেলাবতে অনেক জয়নুল ও বকুল সমর্থকরা জয়েন করেছে জুয়েলের সাথে।
অন্যদিকে বেলাবো মনোহরদীতে বিভিন্ন দখলবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বকুল সমর্থকদের উপর।আর এসব কারণে দিন যত যাচ্ছে জনপ্রিয়তা বাড়ছে আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের। বিএনপি’র তরুণ নেতৃত্ব,তৃণমূল বিএনপি বকুল ও জয়নুলের এ ধরনের সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি পছন্দ করছেন না। তারা আদর্শ মানছেন জুয়েলকে। দিন যত যাচ্ছে জুয়েলের পথসভা, গণসংযোগ এবং জনসভায় মানুষের পরিমাণ বাড়ছে বিপুল হারে। দলের প্রতি তার ক্লিন ইমেজ আকৃষ্ট করছে নেতাদের। তাই এই তরুণ নেতা, জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত হাতিয়ার আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের হাতেই উঠবে বেলাবো মনোহরদীর ধানের শীষের প্রতীক এমনটাই ভাবছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply