গুপ্তচর ডেস্ক:
২০২২ সালের জুন মাসে নরসিংদী তিতাসে যোগদান করেন ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান।যোগদানের পর থেকেই অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে তিনি নিতে থাকেন একের পর এক অভিযান।
মোল্লার চরের ১,০০০ অবৈধ গ্রাহক,মৌলভীবাজারের ৩হাজারেরও বেশি,গোপালদী পৌরসভা, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জের শত শত অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে নরসিংদীর সর্বত্র আলোচনার জন্ম দেন তিনি।তাছাড়া লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে চারজনকেই চাকরি থেকে বহিষ্কার করেন তিনি ।নরসিংদীতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করেছেন তিনি।
এই কাজেরই অংশ হিসাবে তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবদী পৌরসভার প্রভাবশালী কমিশনার ও প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেনের মেন্ডাতলা বাজারে বাড়িতে অভিযানের জন্য টিম পাঠান।কিন্তু দেলোয়ার কমিশনারের লোকজন সেই টিমকে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বাধা সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার তিনি আবারও টিম পাঠান।এবার তারা লাইন বিচ্ছিন্ন করতে সফল হন।কিন্তু পরক্ষণে আবারো অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে দেন সেই কমিশনার।পেশি শক্তি দেখিয়ে তিনি অবৈধ গ্যাস লাইন চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমানের সাথে।তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি সততার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি,কে কতটা প্রভাবশালী এগুলো দেখে আমি কাজ করি না,তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেন তা আমার বোধগম্য নয়।তথ্য পেয়েছি লাইন বিচ্ছিন্ন করার পর আবারও তিনি গোপনে লাইন নিয়েছেন।তাহলে আমাকে এবার নিজেই বড় করে মাঠে নামতে হবে।
এ বিষয়ে মোবাইলে কথা হয় দেলোয়ার কমিশনারের সাথে।তিনি বলেন আমি পাঁচ মিনিট পর আপনাকে ফোন দিচ্ছি।পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে বলেন আমি সাক্ষাতে আপনার কাছে বক্তব্য দিব।সেই সাক্ষাতের সময়, তারিখ কিছুই জানাননি তিনি।
অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা নরসিংদীবাসীর।
Leave a Reply