গুপ্তচর প্রতিবেদক :
বেলাব উপজেলার ওয়ারি গ্রামের মৃত মোঃ আব্দুল মালেকের নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরির মাধ্যমে সরকারি সুবিধা ভোগের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর দাবি, মৃত মোঃ আব্দুল মালেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, অথচ তার চতুর্থ ছেলে মোঃ বিল্লাল মিয়া অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সহায়তায় তার নামে জাল সনদ তৈরি করেন।
অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, উক্ত সনদ তৈরির পেছনে আনুমানিক ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করা হয় এবং শুধুমাত্র বিল্লাল মিয়া একাই এর সুবিধা ভোগ করছেন। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা যদি এই সুবিধার অংশীদার হতে চান, তবে তাদের সনদ তৈরির ব্যয় সংগত অনুপাতে বহন করতে হবে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার অন্যান্য সন্তানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, তার পিতা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হওয়ায় মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি, যা আরো প্রমাণ করে যে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে, তিনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। তবে অভিযোগকারী এখনো প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন নিয়ে সন্দিহান।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া বলেন, বাবা শত খারাপ হলেও তো সন্তান তাকে খারাপ বলতে পারে না, তাছাড়া আমার ভাইয়ের সাথে আরো অনেকেই যুক্ত আছে এর সাথে।
এ বিষয়ে বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না হয় এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট রোধ করা যায়।
Leave a Reply