গুপ্তচর ডেস্ক:
শিবপুরে দীর্ঘ ২০ বছর একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বিএনপি’র প্রয়াত মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূইয়ার।কিন্তু ২০০৯ সালে জীবনের শেষ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলে শিবপুরে আর কেউ একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি।মান্নান ভূঁইয়ার মৃত্যুর পরে শিবপুরের রাজনীতিতে এক বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করে।তার ফলশ্রুতিতে নিশংস ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান ওরুফে হারুন খাঁ।হারুন খাঁ মৃত্যুর পর তার ভাতিজা শিবপুরের সাবেক সংসদ প্রয়াত কিরণ খাঁর ছেলে ফজলে রাব্বি খাঁনকে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়।কিন্তু শিবপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরুফে ডলার সিরাজ টাকা দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
শুধু এমপি হয়েই তার মন ভরেনি।এবার তিনি হাত বাড়িয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের আসনটি দখল করতে।ডলার সিরাজের এই দুরবিসন্ধি বাস্তবায়নের জন্য তার সহধর্মিনী ফেরদৌসী ইসলামকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন।ফেরদৌসি ইসলাম শিবপুর আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি।নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে এমন কোন কাজ নাই যা ডলার সিরাজ ও তার পরিবারের সদস্যরা করছেন না।তার এক ভাই তাইজুল ইসলাম মোল্লা এক জন সভায় প্রকাশ্যে বলেছেন শিবপুরে আমাদের চেয়ে বড় মস্তান নাই।২৯ তারিখেও সিরাজ মোল্লা এমপিই থাকবে।অন্যদিকে তার সহধর্মিনী গরিব অসহায় মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। এমপির গাড়ি চড়ে শিবপুরে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।অন্যদিকে ডলার সিরাজ হুংকার ছাড়ছেন বাঘাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ সরকারকে নির্বাচনের পর দেখে নেওয়ার।।জাহিদ চেয়ারম্যানের বিচার কিভাবে করতে হয় সেটা নাকি ডলার সিরাজের জানা আছে।কেননা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে তার পাশে নেই জাহিদ সরকার।তিনি অবস্থান করছেন শিবপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পক্ষে।তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
ডলার সিরাজ ও তার পরিবারের লোকদের ভাবখানা এরকম যত টাকা লাগুক, যাই লাগুক এবার উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারটি তাদের চাই।কিন্তু তার সহধর্মিনির সাথে এবার উপজেলা নির্বাচনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র প্রয়াত মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূইয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী শিবপুর উপজেলার দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান,শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক,মান্নান ভূইয়া পরিষদের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মৃধা ওরুফে আরিফ মৃধা।সততা এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে আরিফ মৃধা মান্নান ভূইয়ার পরে শিবপুরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি।উপজেলা নির্বাচনে তিনি দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন।সুষ্ঠু নির্বাচনে আরিফ মৃধার জয়ের পাল্লাই ভারী।কেননা আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হলেও মান্নান ভূইয়া পরিষদের ভোট যাবে আরিফ মৃধার পক্ষে।বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থী না দিলেও সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আরিফ মৃধার পক্ষে অবস্থান নিবেন এমনটাই মনে করছেন শিবপুরের রাজনৈতিক নেতারা।এই বিষয়টি বুঝতে পেরে ডলার সিরাজের লোকজন নির্বাচনে এমপির প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন, ভয়-ভীতি এবং টাকা বিলাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন,ডলার সিরাজ চায় টাকা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে তার স্ত্রীকে জয়লাভ করাতে,শুধু তাই নয় পরবর্তীতে শিবপুর পৌরসভা নির্বাচনে তার ভাইদের মধ্য থেকে একজনকে পৌরসভার মেয়র বানাতে চান তিনি।ডলার সিরাজের উদ্দেশ্য একটাই শিবপুরে তিনি চান একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে।
২৯ তারিখেই শিবপুরবাসী ঠিক করবে ডলার সিরাজের একনায়কতন্ত্রের হাতিয়ার হবে তারা ,,,নাকি শিবপুরে চলবে অবাধ ,প্রভাবমুক্ত রাজনীতি।
Leave a Reply