গুপ্তচর ডেস্ক:
পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে এমনিতেই মানুষের হয়রানির অভিযোগের অন্তনেই।তার উপরে যদি নির্ধারিত বিলের চেয়ে বেশি বিল নিয়ে আসে তাহলে সেটি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়।শিবপুরে পল্লী বিদ্যুতের এমন এক নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুর উপজেলার আয়ুবপুর ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামে।পকেট ফাঁকা করা গলাকাটা বিল নিয়ে আসায় মাঠকর্মী নূরে আলম কে আজ ১জুন (শনিবার)আটক করে গ্রামবাসী।
জানা যায়,কোন কোন গ্রাহকের এপ্রিল -মে মাসে বিদ্যুৎ কম থাকলেও ৭০-৮০ ইউনিট বেশি লেখা হয়েছে মার্চ মাসের তুলনায়।।বেশি ইউনিট লেখা দেখানোর কারণে বিগত মাসের তুলনায় এই দুই মাসে অনেকের বিল দ্বিগুণের চেয়ে বেশী হয়ে গেছে।
আবু বক্কর মৃধা নামের এক গ্রাহকের মার্চে ইউনিট ছিল ১১৫ এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১৭০এবং মে মাসের সেটি১৮৫ ইউনিট দেখানো হয়েছে।দুই মাসের মধ্যে ইউনিট ব্যবধান হয়েছে ৭০।
মো: আজিজ মিয়া নামের এক গ্রাহকের মার্চে ইউনিট ছিল৫০ এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ৯০এবং মে মাসে সেটি ১৩৫ দেখানো হয়েছে।দুই মাসের মধ্যে ইউনিট ব্যবধান হয়েছে ৮৫।
নোয়াদিয়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই সহজ-সরলও গরিব মানুষ।তাদের মধ্যে রয়েছে দিনমজুর, কৃষক,রিস্কা চালক,ছোটখাটো পান সিগারেটের দোকানদার।দুই মাসের এই বিদ্যুৎ বিল দেখে তাদের মাথা গরম।সীমিত আয়ের মানুষগুলির অতিরিক্ত বিল দেওয়ার সাধ্য নেই।রাগান্বিত হয়ে তারা আটক করেন নূর আলমকে।নূরে আলম স্বীকার করেন উপর মহলের নির্দেশে তিনি বিল বেশি নিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে মোবাইলে কথা হয় শিবপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের সাথে।তিনি জানান সেটা ভুল হয়েছে।অফিস থেকে সংশোধন করে দিবেন।
মোবাইলে কথা হয় নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জিএমের সাথে।তিনি জানান, কাজ করলে ভুল হতে পারে।আমি এই বিষয়টা দেখবো।
কিন্তু গ্রাহক মনে প্রশ্ন বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করলেও বিল কিভাবে বেশি হয়!!উপর মহলের ইশারায় কিভাবে ইউনিট বেশি লেখা হয়!!মানুষের এই গলাকাটা কবে বন্ধ করবে পল্লী বিদ্যুৎ!!
Leave a Reply