গুপ্তচর ডেস্ক:
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ।এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ লোক মুসলমান।কিন্তু সকল ধর্মের প্রতি এদেশের মানুষের রয়েছে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি।সরকারও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে।কিন্তু মাঝে মাঝে অতি উৎসাহী কিছু ধর্মান্ধ লোকের কারণে এদেশে ঘটে বিতর্কিত কর্মকান্ড।
এমনি এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছে শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী অধ্যাপক কল্যাণী ব্যানার্জি।রহিম নামক এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে টুপি ,জোব্বা ও পাগড়ী পড়ে ক্লাস করতে আসায় তাকে তিনি ক্লাস থেকে বের করে দেন।এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে নানা কটুক্তি করেন।ভবিষ্যতে এই কাপড় পড়ে আসলে কলেজে ঢুকতে দিবেন না বলেও শাসিয়ে দেন তিনি।
রহিম ফেসবুকে সেটি পোস্ট দিলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এগুলো কিসের আলামত?প্রত্যেক মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে সেটাই স্বাভাবিক।সরকারের এরকম একটা পদে থেকে এ ধরনের আচরণ তার কতটুকু শোভনীয় !
এ বিষয়ে মোবাইলে বক্তব্য নিতে গেলে,অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জি জানান,আমি শুধু তাকে বলেছি ,পায়জামা ,পাঞ্জাবির সাথে কলেজ ব্যাচ পড়ে আসলে ভালো হয়।তাকে আমি কলেজ থেকে বের করে দেইনি,সে নিজেই চলে গেছে।
উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা শিবপুরবাসির।
Leave a Reply