 
							
							 
                    
গুপ্তচর প্রতিবেদক :
নরসিংদী জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নজিরবিহীন ভূমিকা রাখছেন পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান। ৩০ আগস্ট পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে তার নেওয়া কঠোর পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরিয়ে এনেছে স্বস্তি ও আস্থা।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা সংকটের সময় যখন পুরো নরসিংদী থমকে গিয়েছিল, তখন এসপি হান্নানের দৃঢ় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে এনে, জনগণের সহযোগিতায় তিনি শুরু করেন অপরাধ নির্মূলের কার্যক্রম।
এসপি হান্নান ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। বিতর্কিত ও ঘুষখোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক ওসি এস এম কামরুজ্জামানের ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে ডিবির ওসির দায়িত্ব থেকে পদচ্যুত করেন, যা জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছে। শুধু তাই নয় গাঁজা বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুজ্জামান গং অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের দোসর ডিবির সাবেক ওসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রয়েছে টাকা খেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার ও কোর্টের নিলামে অবৈধ হস্তক্ষেপের গুরুতর অভিযোগ। সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার পক্ষেই সাফাই গাইতেছে কিছু হলুদ সাংবাদিকরা।
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কিছু অসাধু চক্রের অপপ্রচার চললেও সাধারণ মানুষ এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মনে করে। এক সংবাদ সম্মেলনে এসপি হান্নান জানান, তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া চালানো সব প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি তার ব্যক্তিগত অনুদান ও পারিবারিক লেনদেনকে ঘুষ হিসেবে উপস্থাপন করার চক্রান্তেরও প্রতিবাদ জানান।
বর্তমানে নরসিংদীতে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে নিরাপদে যেতে পারছে, যা এক সময় ছিল দুর্লভ। এসপি হান্নান জনগণের কাছে একজন সৎ, দক্ষ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। কোন কারনে এসপি হান্নান যদি এই মুহূর্তে নরসিংদী থেকে চলে যান, তবে নরসিংদী বাসীর জন্য এক চরম দুর্ভোগ নিয়ে আসবে। কারণ কোন ভালো পুলিশ সুপার কোথাও দায়িত্ব পালন না করতে পারলে,সেই জায়গায় একজন দুর্নীতিবাজ, জালিম পুলিশ সুপারেরই পদায়ন ঘটে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
সুশীল সমাজ মনে করে, তার মতো নেতৃত্ব থাকলে নরসিংদী হবে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ একটি জেলা।
Leave a Reply