স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জিয়ার হোসেন নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত একজন অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী হয়েও তিনি নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জমি ও বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, যা তার সরকারি বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জিয়ার হোসেন সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদে, যার মাসিক বেতন মোটামুটি ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজউদ্দিন আহমেদ রাজু তাকে সার্কিট হাউজের পিয়ন পদে চাকুরি দেন। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন ডিসি অফিসের জারিকারক হিসেবে। তবে এই সীমিত আয়ে সংসার চালানোই যেখানে কঠিন, সেখানে তার বিপুল সম্পদ অর্জন স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, নরসিংদীর বিলাসদী এলাকার সাড়ে তিন শতাংশ জমির ওপর তিনি পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করছেন, যার নির্মাণব্যয় আনুমানিক দেড় কোটি টাকা। পৌরসভার অনুমোদন না নিয়েই নির্মাণ করছেন ভবন। চারদিক দিয়ে খোলামেলা থাকায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এদিক দিয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কে চলাচল করেন। যেকোন সময় উপর থেকে ইট পড়ে পথচারীদের জীবননাশের শঙ্কা রয়েছে ।ভবন নির্মাণ নির্দেশনাও মানছেন না তিনি। নির্মাণাধীন এই ভবনের জমিটির দামই প্রায় এক কোটি টাকা বলে দাবি স্থানীয়দের। এ ছাড়াও বিলাসদী ও আশপাশের এলাকায় তার নামে আরও বেশ কিছু জমি ক্রয় এবং নির্মাণকাজ গোপনে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামে বেনামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা।
শিবপুরের দক্ষিণ কারার চর এলাকায় তার আরেকটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মিত হয়েছে বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ফোনে জিয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,
“ডিসি স্যার সব জানেন। আপনি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন, আমাকে ফোন দেবেন না।”
তার এমন বক্তব্য আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন—এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তারা মনে করেন, এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই বিষয়ে তদন্ত করলে ঘটনাটির সত্যতা উদঘাটিত হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে, এবং আরও তথ্য পেলে পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন *** উপদেষ্টা: নাছরিন রিমা স্মৃতি
কার্যালয় : উপজেলা মোড়, নরসিংদী। মোবাইল: ০১৯০৬০৬০০৫৭, ই-মেইল: msi873098@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক গুপ্তচর. All rights reserved.