নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ও পুনর্গঠনের ধারায় নতুন নেতৃত্বের আবির্ভাব খুবই স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বিশেষ করে যখন কোনো এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা কিংবা অপ্রতিনিধিত্বের শিকার হয়, তখন জনগণ স্বপ্ন দেখে একজন নতুন, সৎ, সাহসী ও দূরদর্শী নেতার। ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে বেলাবো-মনোহরদী আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষ থেকে নতুন কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।
বেলাবো-মনোহরদী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। এই আসনে ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় থাকলেও, জনগণের ক্ষোভ, বঞ্চনা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা অনেক আগে থেকেই স্পষ্ট। কর্মসংস্থানের অভাব, শিক্ষার মানহানি, কৃষকের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থা—এসব অভিযোগ যেন এখানকার জনজীবনের নিত্য বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—আর কতদিন চলবে এই অযোগ্য শাসন ও উন্নয়নের নামে প্রহসন? এই এলাকার মানুষ আর কোন ছল-চাতুরির শিকার হতে চান না, কোন বেঈমান-মীর্জাফরকে নেতৃত্বে দেখতে চায় না। ঠিক এই সময়েই ধানের শীষের পক্ষে একজন অভিজ্ঞ, সৎ ও পরীক্ষিত নেতার আগমন জনগণের মধ্যে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। তিনি আর কেউ নন—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক- আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।
আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল শুধু একটি নাম নয়—তিনি বিএনপির লড়াই-সংগ্রামের মাঠপর্যায়ের একজন পরীক্ষিত সৈনিক। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠা, ত্যাগ ও দক্ষতার সঙ্গে। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রদল যেমন সংগঠিত হয়েছে, তেমনি স্বেচ্ছাসেবক দল পেয়েছে গতিশীলতা ও নবজাগরণ। রাজনৈতিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, কারাবরণ—সবকিছু মোকাবিলা করেও তিনি কখনো আপস করেননি নিজের আদর্শ ও দলের স্বার্থের সঙ্গে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ ১৬ বছরে তিনি বহুবার কারান্তরিত হয়েছেন, প্রায় আড়াই শতাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। দুটি মামলায় ১৭ বছরের সাজা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন না হতো আজ নিশ্চিতভাবেই কারাগারের অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হতেন। সবকিছু নিশ্চিত জেনেও এক মুহূর্তের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামে একটিবারও পিছপা হননি।
বেলাবো-মনোহরদীর মানুষের আজ এমন একজন নেতার দরকার, যিনি শুধু ভোটের সময় নয়, সব সময় পাশে থাকবেন। যিনি এলাকা, মানুষ ও মাটিকে চেনেন ও ভালবাসেন , বোঝেন এবং আন্তরিকভাবে তাদের জীবনমান উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। জুয়েলের অতীত রাজনীতির ইতিহাস, সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা তাঁকে এই আসনের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তাঁর সম্ভাব্য প্রার্থীতা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। তার রাজনৈতিক জীবনের ক্লিন ইমেজ ইতিমধ্যে সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যদি জুয়েল ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তবে বেলাবো-মনোহরদীতে একটি নতুন রাজনৈতিক ইতিহাস রচিত হবে।
রাজনীতি মানেই ক্ষমতার লড়াই নয়—এটি সেবার প্রতিশ্রুতি, জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর নাম। বেলাবো-মনোহরদী আজ একজন যোগ্য, সাহসী, সৎ ও পরিশ্রমী নেতার অপেক্ষায়। আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল সেই শূন্যস্থান পূরণে প্রস্তুত। ধানের শীষের এই কান্ডারীই হতে পারেন গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ এবং জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর নেতৃত্বে বেলাবো-মনোহরদী পেতে পারে একটি নতুন দিগন্ত—স্বপ্ন, সাহস এবং সাফল্যের পথ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন *** উপদেষ্টা: নাছরিন রিমা স্মৃতি
কার্যালয় : উপজেলা মোড়, নরসিংদী। মোবাইল: ০১৯০৬০৬০০৫৭, ই-মেইল: msi873098@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক গুপ্তচর. All rights reserved.