গুপ্তচর ডেস্ক:
গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ। কিন্তু বর্তমান সমাজে দেখা যাচ্ছে সম্পত্তি, টাকা ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের চরম দন্দ লাগিয়ে পৃথক করে ফেলছে। সম্পত্তি এবং টাকার জন্য এক ভাই অন্য ভাইকে হত্যা করছে।করছে মামলা হামলা। রক্তের বাঁধন হয়ে যাচ্ছে চরম শত্রু। এমনই দুই ভাইয়ের সন্ধান মিলেছে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী গ্রামে। এই গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে রতন আর রিটনের মধ্যে চলছে চরম দন্দ। অব্যাহত রয়েছে হামলা মামলা। বকুল মিয়ার বড় ছেলে রতন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে টাকা দিয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে ফিরোজা ফিলিং স্টেশন নামে একটি পাম্প ব্যবসা শুরু করে। এই পাম্প ব্যবসা করে ছোট ভাই রিটন ছাত্র অবস্থায় কোটিপতি বনে যায়। তারপর একে একে তিনি নির্মাণ করেন ইটভাটা, মনোহরদী বাজারে আট তালা ফাউন্ডেশনের ছয় তলা মার্কেটসহ বিল্ডিং, আধাপাকা মার্কেট, ঢাকায় একাধিক বাড়ি,বিলাস বহুল ফ্ল্যাট। নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। তার এসব স্থাপনার আনুমানিক মূল্য প্রায় 50 কোটি টাকার উপরে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করে। এত টাকার উৎস কোথায়!শুধু কি পাম্প ব্যবসা করে তিনি এত টাকা আয় করেছেন নাকি রয়েছে তার অন্য কোন গোপন ব্যবসা ! এলাকার কোন মানুষ জানেন না তিনি কি করেন।ফিরোজা ফিলিং স্টেশনটি বর্তমানে সরকার জমি অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত করেছে। যার বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। এই টাকা আত্মসাৎ করার জন্য বড় ভাইয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজের নামে দলিল করে নিয়েছেন বলে বড় ভাই অভিযোগ করেন। এই ফিলিং স্টেশনের জায়গা ব্যাংক থেকে লোন করার জন্য ছোট ভাইয়ের নামে সাব কাবলা করে দিয়েছিলেন বড় ভাই রতন। পরবর্তীতে রতনকে আবার জায়গা ফেরত দেন রিটন। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ হলে পূর্বের দলিল দেখিয়ে তার নামে বিল করার জন্য পায়তারা করে রিটন। কিন্তু এই জমির প্রকৃত মালিক হচ্ছে বড় ভাই রতন মিয়া। সামাজিকভাবে আপস মীমাংসার জন্য ৩৩ লক্ষ টাকার কথা থাকলেও সেই টাকা না দিয়েই রিটন দাবি করছে সে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে।কিন্তু বড় ভাইয়ের অভিযোগ তিনি টাকা পাননি। এলাকার একাধিক সোর্স এমনকি রিটনের বাবা এবং মা বড় ভাই দুলাল অস্বীকার করেন যে টাকা রতনকে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বড় ভাই রতন বলেন,আমি বিদেশ থেকে তার কাছেই টাকা পাঠাইতাম।আমার টাকা আত্মসাৎ করে সে কোটি কোটি টাকার মালিক আর আমি পথের ফকির।
মোবাইলে রিটনের সাথে কথা হয় এসব বিষয় নিয়ে।তিনি বলেন,ঢাকা আমার বাড়ি নেই ফ্ল্যাট আছে,আমি হালাল ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছি আমার ব্যাংক লোনও আছে।
উক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্ত-পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন *** উপদেষ্টা: নাছরিন রিমা স্মৃতি
কার্যালয় : উপজেলা মোড়, নরসিংদী। মোবাইল: ০১৯০৬০৬০০৫৭, ই-মেইল: msi873098@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক গুপ্তচর. All rights reserved.