গুপ্তচর ডেস্ক:
মাধবদীর চোরা সুতার ব্যবসা করে জিরো থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া বিনয় দেবনাথ একজন ভূমিদস্যু হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। আওয়ামী আমলে নানা কুকর্ম করে সেগুলি জায়েজ করত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অবসর প্রাপ্ত) চিত্তরঞ্জন পালকে দিয়ে। আওয়ামী এই সাবেক পুলিশ বিনয়ের সকল অপকর্মের স্বাক্ষী ও হোতা। তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী বাদল বনিক।
জানা যায়, ২০১৬ সালে বাবুল মল্লিক তার সম্পত্তি এক কোটি ২০ লাখ টাকায় বিনয়ের কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। জমি রেজিস্ট্রির দিন ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা বাবুল মল্লিক এর ব্যাংকে জমা দিবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয় বিনয়। পরবর্তীতে সেই টাকা চাইতে গেলে উল্টো বাবুল মল্লিক এর নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করে দেয় বিনয় দেবনাথ। এ মামলায় তার পক্ষে বাদী হয় চিত্তরঞ্জন পাল। তৎকালীন মাধবদী থানার পুলিশ চাঁদাবাজির এই মিথ্যা মামলা আমলে নেয় নি। কিন্তু হাল ছাড়েনি চিত্ররঞ্জন পাল।পিবিআইকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী বানিয়ে চাঁদাবাজির মামলা চালু করে। চিত্তরঞ্জন পালের ওই সাক্ষী দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অনেকেই এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানে না। জাকির নামের এক সাক্ষী বলেন, আমরা বিনয়ের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলাম, আমাদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। বিনয়ের শত কোটি অবৈধ টাকা রয়েছে,এই টাকা দিয়ে মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার পক্ষে প্রতিবেদন নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে বাবুল মল্লিক একজন অসহায় মানুষ। তাই দীর্ঘ আট বছর মানুষের পিছে পিছে ঘুরে এখনো তিনি সুবিচার পাননি। অন্যদিকে মাধবদী বাজারের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন ১২ লক্ষ টাকা জোরপূর্বক দরবার করে রায় প্রদান করে। বাবুল মল্লিক যদি চাঁদাবাজ হয় তাহলে প্রশ্ন হল ১২ লক্ষ টাকা কিসের রায় করেছিলেন তিনি? এ প্রশ্ন করলে তিনি কোন কথার উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন । শুধু রায় করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, এটা নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করলে, বাবুল মল্লিকের ভাইদের বাজারে কোন ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুমকি প্রদান করেন তিনি। দুঃখজনক হলেও সত্য এই জুলুমবাজ সেক্রেটারি এখনো বাজার কমিটির দায়িত্বে রয়েছে। চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম সাক্ষী কানাই পাল একজন জাল দলিল কারি ।এ বিষয়ে তাকে ফোন দিলে সে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।অন্যদিকে মাধবদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিনকে মোবাইলে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে নিজের পরিচয় গোপন করে তিনি বলেন, বিনয় আমার পরিচিত,সালাউদ্দিন তো অসুস্থ, ঢাকায় আছেন। আমি তার কর্মচারী। এসব বিষয়ে জানতে চিত্তরঞ্জন পালকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর তিনি ফোন কেটে দেন।
ইতিমধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বরাবর অভিযোগ করেছেন বাবুল মল্লিক। সার্কেল এসপি নরসিংদীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। একাধিকবার বিনয়কে ডাকলেও সে উপস্থিত হচ্ছে না। প্রশ্ন হল একজন অপরাধীকে ডাকার দরকার কি? বিনয়কে এবং সকল অপকর্মের হোতা সাবেক পুলিশ চিত্তরঞ্জন পালকে ধরে এনে কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি করাই হবে উপযুক্ত কাজ।
চোখ রাখুন তৃতীয় পর্বে,,,,চলবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন *** উপদেষ্টা: নাছরিন রিমা স্মৃতি
কার্যালয় : উপজেলা মোড়, নরসিংদী। মোবাইল: ০১৯০৬০৬০০৫৭, ই-মেইল: msi873098@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক গুপ্তচর. All rights reserved.