আলম মৃধা চিফ রিপোর্টার :
নরসিংদীর শিবপুর সাব রেজিস্টার অফিস পরিণত হয়েছে ঘুষ বাণিজ্যের আখড়ায়। প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যেই আদায় করা হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ। শুধু তাই নয়, নানা অজুহাতে দলিলের ভুল ধরা ও সংশোধনের নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সাব রেজিস্টার মাহবুব হোসেন, যিনি গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা, তার নেতৃত্বেই এই ঘুষ বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া এই কর্মকর্তা নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার আলোচনায় আসলেও বহাল তবিয়তেই দায়িত্ব পালন করছেন। একবার ছুটি না নিয়েই গোপালগঞ্জ চলে যাওয়ার ঘটনা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, সপ্তাহে মাত্র দুই থেকে তিন দিন অফিস করেন তিনি। বাকি সময় ঢাকার অভিজাত হোটেলে অবস্থান করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
শুধু শিবপুর নয়, নরসিংদীর প্রতিটি সাব রেজিস্টার অফিসেই একই চিত্র দেখা গেছে। দলিল রেজিস্ট্রেশনে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে। তাকে ম্যানেজ করেই সাব রেজিস্টার মাহবুব হোসেন অবাধে ঘুষ বাণিজ্য চালাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাধারণ মানুষের দাবি, জেলা রেজিস্ট্রার যদি কঠোর অবস্থান নিতেন, তবে কোনো সাব রেজিস্টার এভাবে প্রকাশ্যে দুর্নীতি করতে পারতেন না।
শিবপুরের সচেতন মহল বলছেন, এভাবে ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। তাই সাব রেজিস্টার মাহবুব হোসেনকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শিবপুরবাসীকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply