নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদী থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকবৃন্দ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর এক যৌথ আবেদন জমা দিয়েছেন। এতে স্বাক্ষর করেন নরসিংদীর সাতজন সম্পাদক ও প্রকাশক। তারা অভিযোগ করেন যে, দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ অবৈধভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে মিডিয়া তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে নানা সুবিধা ভোগ করে আসছে।
সম্পাদকরা অভিযোগ করেন, পত্রিকাটির সম্পাদক কাজী আনোয়ার কামাল বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় নিরপেক্ষ ও ভিন্নমত পোষণকারী সাংবাদিকদের নানা হয়রানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমনকি অনেক সাংবাদিককে সে সময় আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনবল নিয়োগ, বেতনভাতা প্রদান, এবং অবাস্তব প্রচারসংখ্যা (২৭ হাজার কপি) দেখিয়ে পত্রিকাটিকে অবৈধভাবে সুবিধাভোগী বানানো হয়েছে। এছাড়া, মুজিব শতবর্ষের লোগো ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
আবেদনকারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন—
১. তদন্ত সাপেক্ষে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ এর ডিক্লারেশন বাতিল।
২. তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পত্রিকাটিতে কোনো সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখা।
৩. সম্পাদক কাজী আনোয়ার কামালকে ভিন্নমত দমনে ভূমিকার কারণে আইনের আওতায় আনা।
৪. বাংলাদেশ বেতারের নরসিংদী প্রতিনিধি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি।
৫. জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটি থেকে অব্যাহতি।
৬. জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির থেকে অব্যাহতি।
৭. নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি।
এছাড়া তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকারি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজী আনোয়ার কামাল জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতে পারেন।
আবেদনটির অনুলিপি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি দপ্তরের প্রধান এবং নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয়েছে। চার মাস হয়ে গেলেও এখনো এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসক। অনতিবিলম্বে তার পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে তার উপদেষ্টার সাথে জেল হাজতে প্রেরণের দাবি সচেতন মানুষের।
Leave a Reply