নিজস্ব প্রতিবেদক :
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা সাব রেজিস্টার অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠলেও এখনো তিনি বহাল আছেন পদে। স্থানীয় জনগণ, দলিল লেখক ও সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই তার বিরুদ্ধে। গোপালগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে—দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। অনেক ক্ষেত্রে দলিলের শ্রেণি পরিবর্তন করে তা রেজিস্ট্রি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসে নিয়মিত উপস্থিত না থাকা, ছুটি না নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করা এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তার দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
দলিল লেখক সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছেন, কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সনদ বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। এতে করে ভয়ের পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে দলিল লেখকদের। প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না।
শিবপুরের কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন মাহবুব হোসেন। স্থানীয়ভাবে তাকে “সেল্টারদাতা কর্মকর্তা” বলেও আখ্যায়িত করছেন অনেকে।
এমন অসংখ্য অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও প্রশাসন এখনো নিরব। অভিযোগ রয়েছে—উচ্চপর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বহাল আছেন দায়িত্বে।
শিবপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, “দলিল অফিসে দুর্নীতি আজ প্রকাশ্য গোপন রহস্য। প্রতিদিনই মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ দেখেও কিছু করছে না।”
স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগসমূহের সত্যতা যাচাই এবং দোষী প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply