নিজস্ব প্রতিবেদক:
মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো : আমিনুর রহমান সরকার দোলনের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সংস্কারপন্থী নেতা সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের ডান হাত হিসাবে পরিচিত দোলন।
এ ভূয়া সনদ দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হয়েছেন বলেও জানা যায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। জানা যায়, আমিনুর রহমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ হতে ১৯৯৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন বলে দাবি করে এসেছেন। প্রকৃতপক্ষে সেটি ভুয়া।
ভূয়া এ সনদ দিয়ে তিনি বড়চাপা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি, আসাদনগর ডিএম ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ও খিদিরপুর কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হয়েছেন।
ভূয়া সনদের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ….. বলেন, বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে দেখা যায় এ সনদটি ভূয়া ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে এ নামে কোন শিক্ষার্থী নেই । ১৯৯৫ তে আমাদের সনদ দেয়া হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে দোলনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় দিলে সাথে সাথে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য যে, আমিনুর রহমান সুবিধাবাদী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট বলে অভিযোগ বিএনপির বহু নেতাকর্মীর। তার বিরুদ্ধে আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাট-বাজার ও প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে যায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাটি ও বালু বিক্রি সিন্ডিকেট থেকে মাসোয়ারা নেয়া, চাঁদাবাজি, আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
Leave a Reply