গুপ্তচর ডেস্ক :
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল।
জানা যায়,মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিসা খান ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মনোহরদী কর্মস্থলে যোগদান করেন। তখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলমান। আওয়ামীলীগ সমর্থিত এই কর্মকর্তা যোগদান করেই নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সাবেক শিল্পমন্ত্রীকে নির্বাচনে বিজয়ী করানোর সমর্থন দেন। বিনিময়ে ০৫-০১-২০২৪ইং তারিখে উনার বিশ্বস্ত মানুষের মাধ্যমে ৯০,০০০,০০ (নব্বই লক্ষ) টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। যদিও সাইফুল ইসলাম খান বীরু ব্যাপক ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসনিক ক্ষমতা খাটিয়ে শিল্পমন্ত্রীর জয় নিশ্চিত করেন, যা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মনোহরদী ও বেলাব আসনের মানুষ ভোটের নিসাব মেলাতে পারেনি।
তাছাড়া ৭ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ও তিনি অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে, যার প্রমান হিসেবে তখনকার অন্যান্য প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটলেও তিনি আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
মনোহরদী উপজেলার সকল অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহালুল এর মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা অবৈধ ঘুষ বানিজ্য করে। তাদের কাছ থেকে
৫,০০,০০০/- (পাচঁ লক্ষ) টাকা নিয়ে রশিদ দিত ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা। বাকী টাকা তিনি আত্মসাৎ করত। প্রায় সবার সাথে এ কাজগুলো করেছে।ইটের ভাটা’র মালিক সমিতির সভাপতি বুলু ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দিবস যেমন- ২৬শে মার্চ (স্বাধীনতা দিবস), ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস), ২১শেফেব্রুয়ারি (ভাষা দিবস), ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করত।বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাতে অবৈধ অর্থ আদায় করত।
অন্য একটি সূত্র জানায়,
তার স্বামী পুলিশের কর্মকর্তা হওয়া সুবাদে মনোহরদী উপজেলা পীরগ্রামের ২৭ তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডার গনহত্যার অন্যতম হোতা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে তিনি অভিবাভক হিসেবে
উপজেলায় পরিচয় দিতেন। ২০২০ সালে মেজর সিনহা হত্যার সময় মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কক্সবাজারে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ২০২০ সালে তার বীরোচিত কর্মকান্ডের জন্য সে ২০২২ সালে এসে বিপিএম সেবা পদকের জন্য মনোনীত হয়।গনতহ্যার অপরাধের দায়ে মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এখন জেল হাজতে। মোহাম্মদ ইকবাল
হোসাইন এর প্রভাব খাটিয়েও তিনি মনোহরদীতে বাড়তি সুযোগ নিতেন। সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান এর অত্মীয় পরিচয় দিতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিসা খানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন এগুলি ভুয়া, অযৌক্তিক, ভ্রান্ত ও মিথ্যা কথা।
Leave a Reply