
গুপ্তচর প্রতিবেদক :
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় কাজের সময় বিস্ফোরক ড্রাম বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে এক মোটর মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মেকানিকের নাম সোহাগ মিয়া (১৯)। তিনি বীরবাঘবের গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার দোকান মালিকসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেলাব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এটা কি একটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড! পরিবার অভিযোগ করেছেন এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ সোহাগ চেয়েছিল নিজের মালিকানায় নতুন দোকান করতে।
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, চরউজিলাব এলাকার ভাই ভাই মোটরসের মেকানিক সোহাগ মিয়াকে দোকানের মালিক সাদেক মিয়া একটি বিস্ফোরক ড্রাম কাটতে বাধ্য করেন। এই ড্রাম দিয়ে ফালু শাহ মাজারের দান বাক্স তৈরি করার কথা ছিল। ২২ জানুয়ারি দুপুরে দোকানে কাজ করার সময় কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে ড্রামটি কাটার জন্য চাপ দিলে সোহাগ মিয়া এতে আপত্তি জানান। কিন্তু মালিকপক্ষের হুমকির মুখে পড়ে তিনি ড্রামটি কাটতে বাধ্য হন।
ড্রাম কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে তিনি টিনের চাল ভেদ করে ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউলাইফ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ দিন আইসিইউতে থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের বোন আয়েশা বেগম জানান, “আমার ভাইকে জোর করে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হয়েছে। যারা তাকে বাধ্য করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মাহবুব বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিহতের পরিবারের সদস্যরা দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply