গুপ্তচর ডেস্ক:
২০২০ সালে “নরসিংদীতে আড়িয়াল খাঁ নদী,হারিদোয়া নদী,ব্রহ্মপুত্র নদ,পাহাড়িয়া নদী ,মেঘনা শাখা নদী,পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুন:খনন প্রকল্প হাতে নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।উক্ত প্রকল্পের আওতাধিন আড়িয়াল খা নদীর ১৯ কিলোমিটার খনন কাজের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেই কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।আড়িয়াল খা নদীর মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাধীন রেখে যাওয়া সেনাবাহিনীর বালু বিক্রি করে দেন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান।নদী খননের বালু বিনা মূল্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে,স্কুল -কলেজ, মাদ্রাসা ,এতিমখানা, গরিব মানুষদের দেওয়ার কথা থাকলেও তিন বছর পর সেই বালু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এলাকা সূত্রে জানা যায়,নদী খননের ৩০ থেকে ৩৫ জনের জমিতে সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া বালু মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তার অনুসারীদের দিয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন।যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা।
বালু বিক্রির এই বিশাল অংকের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পেটে।
এ বিষয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর বক্তব্য নিতে গেলে ,এডমিন ঢাকায় আছে বলে রিসিপশন থেকে জানানো হয়।
মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পরিষদে গেলে সেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে তাকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, বালু কৃষক বিক্রি করে দিয়েছে,কৃষকের বক্তব্য দেন,কৃষক এই বালু বিক্রি করার অধিকার রাখে না,এই কথা শুনা মাত্র তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।তিনি বলেন, আমি ঢাকা মেডিকেলে আছি, এসে আপনার সাথে কথা বলব।
তার কিছুক্ষণ পরেই রুদ্র নামের এক কথিত রিপোর্টার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন,আপনি কি আমার মামা(আতাউর চেয়ারম্যান)কে ফোন দিয়েছিলেন?আপনার জন্য কি করতে পারি ভাইজান?
এই বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
Leave a Reply