গুপ্তচর ডেস্ক:
নীরু -বাবলুর গড়া দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দুই ভাইয়ের হাতে ছাত্র রাজনীতির সোনালী সময় পার করেছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কিন্তু নানা সমীকরণে সানাউল হক নীরু দল থেকে উপেক্ষিত হয়েছেন বারবার। কিন্তু কখনো আওয়ামী লীগের দালালি করেননি। বেলাবো মনোহরদীর রাজনীতি নিয়ে সম্প্রীতি তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। হুবহু সেটি তুলে ধরা হলো,
৫ আগষ্টের বিপ্লবের পরে মনোহরদী বেলাববাসী সবাই আশা করেছিল এইবার বিএনপির চিহ্নিত চাদাবাজ ও গত পনের বছর ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সুবিধাভোগী ও বর্ণচোরা বকুল বাহিনীর দৌরাত্ম কমবে কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টোটা। গত পনের বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটা চিহ্নিত মহল মনোহরদী বেলাব উপজেলার চাদাবাজি থেকে শুরু করে ইয়াবা (বাবা) ও বালুর ব্যবসা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করলেও ইতিমধ্যে তা শতভাগ বকুল বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। শাখাওয়াত হোসেন বকুল সাবেক এমপি ও মন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন এর মামাতো ফুপাতো ভাই এখানেই গল্পের শেষ নয় দুজন আপন দুই বোনকে বিয়ে করে তাইনেরা আবার বায়রা ভাইও বটে। মনোহরদী বেলাব উপজেলার বিএনপি সমর্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা আজ তিনটা ধারায় বিভক্ত। দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও ভালো মানুষগুলো লে: কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন ও জুয়েল গ্রুপে বিভক্ত এবং চিহ্নিত চাদাবাজ ও ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং দিনে বিএনপি ও রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের সবাই বকুল বাহিনীর সদস্য। সুতরাং দল যদি এখনো এইসব দুষ্ট লোকদের বিএনপি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত ও পুরুষ্কৃত করতে চায় তাহলে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি গভীর সংকটে নিপতিত হতে পারে এমনটাই সবার আশংকা। অবশ্য ইতিমধ্যে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক নিজ দলের নেতাকর্মীদের উপরে বকুল বাহিনীর এহেন জুলুম, নিপীড়ন ও তান্ডব দেখে তারা দল ছেড়ে জামাত শিবিরে চলে গেছেন। গত ৩ মাসে বকুল বাহিনীর হামলায় দলের বহু নেতাকর্মী ইতিমধ্যে গুরুতর জখম ও হসপিটালাইজড হয়েছে এবং লে: কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, জাকিরসহ বহু বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ি ভাংচুর, মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং বহু বিএনপি নেতাকর্মীর ব্যবসা বানিজ্য এদের হাতে মারাত্মকভাবে বাধাপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নরসিংদী জেলা কমিটি ও কেদ্রীয় পর্যায় থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা সবার আগে মনোহরদী -বেলাবো উপজেলা কমিটি আজও ভেঙে দেয়া হলো না, এসব কিসের আলামত? ইতিমধ্যে অনেক দলীয় নেতাকর্মী দল ছেড়ে চলে গেছেন। এইমূহুর্তে সবাই কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যেহেতু নরসিংদী জেলা কমিটি টাকার বিনিময়ে সমস্ত অপকর্ম ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখেছি না, সেক্ষত্রে কেন্দ্রই লাস্ট ভরসার স্থল। একমাত্র তারেক রহমানই মনোহরদী -বেলাবো ও নরসিংদী জেলা বিএনপিকে রক্ষা ও এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন। উনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভালো মানুষদের দিয়ে দল চালাবেন নাকি অমানুষ ও অসুরদের হাতে বিএনপিকে ছেড়ে দিবেন। আশা করি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং দল বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অমর হোক।
Leave a Reply