নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘুষ ছাড়া কোন খারিজ মেলে না নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পাটুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এখানের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন অফিস সহকারি (কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ) মোঃ আনোয়ার হোসেন। অফিসে তার কথাই শেষ কথা, তার আইনই ভূমি আইন। এমনই এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি মোঃ ফয়সাল হোসেন নরসিংদী ডিসি বরাবর অভিযোগ করেছেন আনোয়ার হোসেনের নামে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ভাবলা গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে ফয়সাল, সে তার বড় ফুফু হোসনেয়ারার জমি দলিল করার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে গেলে, পাটুলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ( নায়েব ) বলেন, নামজারী ছাড়া উন্নয়ন কর পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তিনি নামজারি ও জমাভাগের জন্য আবেদন করেন। যার কেস নাম্বার ২১১৫ /২৪ -২৫ হিসেবে এন্টি হয়। সরজমিন তদন্ত-পূর্বক নায়েব নামজারি ও জমাভাগের পক্ষে প্রস্তাব প্রেরণ করেন। এসিল্যান্ড অফিস থেকে মোবাইলে এসএমএস পান তিনি এবং নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকার জন্য বলেন। কিন্তু তখনই বাধে বিপত্তি। অফিস সহকারি আনোয়ার হোসেন জানান, খারিজের জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। অন্যথায় সেটা বাতিল হয়ে যাবে। এ বিষয়টি এসিল্যান্ডকে জানালে তিনি বলেন, আপনার কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি নামজারি পেয়ে যাবেন।কিন্তু সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ঘুষ না দেওয়ার কারণে তার আবেদনটি বাতিল করা হয়। আর এখানে একটি হাস্যকর যুক্তি দেখানো হয়, সেটা হল বিবাদী অনুপস্থিত। অর্থাৎ আনোয়ারের জয় হয়েছে। ঘুষ নাই, খারিজ নাই।
ভুক্তভোগীর শেষ ভরসা এখন জেলা প্রশাসক। ভূমি অফিসে চাকুরী করে নায়েব, অফিস সহকারি, পিয়ন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার নজির রয়েছে অনেক। তাই এই ধরনের দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দুদকের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি ভুক্তভোগীর।
Leave a Reply