নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আর সেই কাজটি সবার আগে করে থাকেন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা। কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী সরকারের আমলে অনেক শিক্ষকরাও হয়ে গিয়েছিল স্বৈরাচার। তাদের ইচ্ছাই ছিল নিয়ম।এমনই এক শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম। আওয়ামী পরিচয়ে সর্বত্র দাপট দেখিয়েছেন তিনি।
সূত্র জানায়,আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর নরসিংদী সদরের সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এখনও মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের দাবী নিয়ে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান আন্দোলন করার কথা বলে,সরকারি চাকুরী করে সরকারের বিরুদ্ধে ০৩/১০/২০২৪ইং বৃহস্পতিবার মিছিল করেন নরসিংদী উপজেলা ডিসি রোডে। আওয়ামী আমলে সাবেক এমপি হিরোর পিএস ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেনের বাল্য বন্ধু মাজহারুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে দাপট দেখাতো । আওয়ামী শাসন আমলে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে,সাবেক শিল্পমন্ত্রীর ডিও লেটারের মাধ্যমে, বদলীর নীতিমালা বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে সরাসরি ডিজি অফিস থেকে, ভুয়া বদলি অর্ডার করে বগারগোত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক থাকার পরেও বদলি হয়ে, ২০১৩ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের জাতীয়করন দগরিয়া চৌধুরী বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে যোগদান করে।আওয়ামী শাসন আমলে নরসিংদী সদর শিক্ষা অফিসে অনেক শিক্ষক ও অফিসারদের লাঞ্চিত করে।তার সাথে থাকা বখাটে ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিসে স্টাফদের হুমকি দমকি দিত। এই মাজহারুল আওয়ামীলীগ নেতাদের খুব কাছের মানুষ ছিলো ও ক্ষমতার দাপট দেখাতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সাধারন শিক্ষক জানায়, মাজহারুল ইসলাম বাহিনীদের কাজ শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ করা।কিছু বিপদগামী শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয় ফাকি দিয়ে তাদের কাজ হলো শিক্ষা অফিসে দালালী করা ও প্রাথমিক শিক্ষাকে প্রশ্নবৃদ্ধ করা।মাজহারুল ইসলাম বাহিনীর সাথে যুক্ত আছে শিক্ষক সমাজের কিছু সংখ্যক দুষ্ট শিক্ষক এবং আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের ছায়া।
তাই এই ধরনের ফ্যাসিস্ট দোসরদের যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিরোধে সজাগ থাকবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন শিক্ষকদের।
Leave a Reply