নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পালিয়ে যায় অনেক চেয়ারম্যান। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। এজন্য বিভিন্ন চেয়ারম্যানের জায়গায় সরকারি লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনই এক পলাতক চেয়ারম্যান করিমপুর ইউনিয়নের মমিনুল হক আপেল। তার জায়গায় সরকারি লোক দেওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিএনপি নেতারা।
সূত্র জানায়,নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী চেয়ারম্যানের পদ যেন বহাল থাকে, এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে করিমপুর ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি আসাদুজ্জামান কাজল,নরসিংদী জেলা তাতীদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন,নরসিংদী জেলা নবীন দলের সভাপতি আমীর হোসেন সবাই নরসিংদীর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসে জোর তদবির চালাচ্ছে। এর সাথে আরো যুক্ত রয়েছে করিমপুর আওয়ামী লীগের বিশ্বস্থ কর্মী ও বর্তমানে বি এন পির নাম পরিচয় দিয়ে বেড়ানো সৈয়দ আহমেদ দুলাল,
করিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কাবিল মাহমুদ,৫নং ওয়ার্ড বি এন পির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার সহ আরো অনেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করতে যান উপজেলা অফিসে।কিন্তু ইউনো জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে একটু সময় চেয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলেন।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই সুযোগে নরসিংদী জেলা নবীন দলের সভাপতি আমির হোসেন, উক্ত কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা,মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে আসেন।যদি নিজেদের বি এন পি দাবি করে আর খায়রুল কবির খোকনের আস্থা এবং ভরসার লোক হয়ে থাকে, তাহলে তারা কি ভাবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদ বহাল থাকার জন্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনুরোধ নিয়ে যায়? তাহলে তারা কেমন বি এন পি? একটি সরকারি অফিসে গিয়ে চুরির সাথে সম্পৃক্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করিমপুর বিএনপি’র এক নেতা বলেন, চুরির দায়ে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে নবীন দলের সভাপতি আমির হোসেনকে। আর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা চেয়ারম্যান কে বহাল রাখতে চাচ্ছেন। এ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আসাদুজ্জামান কাজল। কেননা চেয়ারম্যান আপেলের খালাতো বোনের জামাতা তিনি। তাই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানকে রক্ষা করতে দলীয় আদর্শের বাইরে গিয়ে মরিয়া বিএনপির একাংশ।এই নেতারা করিমপুরের জন্য কলঙ্ক।
ঘটনার সঠিক অনুসন্ধান করে এসব নেতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন জেলা বিএনপি এমনটাই প্রত্যাশা তৃণমূল-বিএনপি ও সচেতন মানুষের। অন্যদিকে পলাতক চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিবেন তার দায়িত্ব থেকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
Leave a Reply