নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর সবচেয়ে বিতর্কিত মহিলা যুবলীগের নেত্রী ছিল পাপিয়া। সেই পাপিয়া ও তার স্বামীর শেষ ঠিকানা হয়েছে কারাগার। কিন্তু এরই মধ্যে নরসিংদীর দ্বিতীয় পাপিয়া কুখ্যাতি লাভ করা তামান্না মনোহরদী পৌরসভার কমিশনার নির্বাচনে পরাজিত হয়। শুধু পরাজিতই নন চারজন মহিলা সংরক্ষিত কমিশনারের মধ্যে মাত্র ৩২৩ ভোট পেয়ে তিনি চতুর্থ হয়েছিলেন । কিন্তু শিল্প মন্ত্রীর সাথে তার গভীর সম্পর্ক থাকায়, পরবর্তীতে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
ক্ষমতার দাপটে তিনি শিল্পমন্ত্রীকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, কেননা শিল্পমন্ত্রী তার কথাই শুনতো ।জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গড়ে তোলেন এক হরিলুট তামান্না সিন্ডিকেট। নরসিংদীর সর্বত্র এই সিন্ডিকেটের অবৈধ কার্যক্রম চলে। বাড়িতে বসান কেসিনোর আড্ডা। যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নজর যেতো সেটাই দখল করে নিতেন। তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য তামান্না ও তার স্বামী মানিক মিয়া মাম রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার জোরপূর্বক দখল করে নেয়। যেই পার্টি সেন্টারের মালিক ছিলেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হাসিব হায়দার (সোহরাব )।তিনি জানান, মনোহরদী লেক সিটি টাওয়ারে মাম রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার শুভ উদ্বোধন করেন ২০১৫ সালে ,কিন্তু এই ব্যবসার উপর নজর পড়ে জেলা পরিষদের সদস্য তামান্না গং দের। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলে শিল্পমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে পার্টি সেন্টার অবৈধভাবে জোরপূর্ব দখল করে নেয় তারা। এতে করে প্রায় তিন কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হন যুবদল নেতা।
শুধু তাই নয় এই তামান্নার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। বিগত শিল্প মন্ত্রীর সময়ে যত কাবিখা এবং টিআর ছিল সব কিছুই কাজ না করে আত্মসাৎ করেছে তামান্না। এই অবৈধ টাকা দিয়ে তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে করেছেন তিন কোটি টাকার গরুর খামার। সাগরদী গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করে। ঢাকায় রয়েছে তার একাধিক বাড়ি। নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা এবং স্বর্ণালংকার।বেলাবোতে পোড়াদিয়া বিএম আলিম মাদ্রাসার দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি তিনি, এখানে টাকা বিনিময় করে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বিগত দিনে। এই দুর্নীতিবাজ মহিলার সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
Leave a Reply