নিজস্ব প্রতিবেদক :
কালের বিবর্তনে মহাজনি প্রথার বিলোপ হলেও মহাজনদের প্রেতাত্মা-মাতবররা এখনো গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আতঙ্কের নাম। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে শালিশের নামে যে অন্যায় সংঘটিত হয় তা আমাদের অনেকেরই অজানা। এই মাদবরদের নোংরা ভিলেজ পলিটিক্স এর কারনে আতঙ্কিত গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর গল্প শোনাবো আজ। এই মাতবরদের একজন মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের চুলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ।
২০০২ সাল থেকে ২০২৪ বিগত ২২ বছরে গোতাশিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সংবলিত গ্রাম চুলা, রাজবল্লভ কান্দি সহ আশপাশের বেশ কয়টি গ্রামের মানুষ সাবেক এই ইউপি সদস্যের অন্যায় অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছে অনেকেই, সর্বস্ব হারিয়েছে এই সাবেক ইউপি সদস্যের নোংরা ভিলেজ পলিটিক্স এর শিকার হয়ে। ইউপি সদস্য হিসেবে তিনি শুরুর দিকে বিএনপি’র ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। দলকে ব্যবহার করে, দলীয় ক্ষমতাকে পুঁজি করে বিএনপি’র সাবেক এমপি সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুলের ছত্রছায়ায় তার এই রাজত্বের সূচনা হয়।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দ্বীন মোহাম্মদ মেম্বার ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারি কেলেঙ্কারি সহ বহুবিবাহের অভিযোগ রয়েছে। দলবদলের মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। কারণ গ্রামের এই মাতবরি বজায় রাখতে হলে তাকে ক্ষমতার খুব কাছে থাকতে হবে। পেশায় মৎস্য খামারি হলেও তার মূল আয়ের উৎস হয়ে ওঠে গ্রাম্য শালিশি এবং সুদের কারবার। এই শালিশি ব্যবস্থাকে আরো পাকাপোক্ত করতে তিনি গড়ে তোলেন এক শালিশি গ্যাং। তার এই গ্যাং মেম্বারদের , মধ্যে উল্লেখযোগ্য চুলা গ্রামের শফিক ভূঁইয়া, আওয়ামী নেতা ইস্কান্দার, সাবেক ইউপি সদস্য ৮ নং ওয়ার্ড আলমগীর মেম্বার, সাবেক ইউপি সদস্য কাজল মেম্বার, বর্তমান ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা বাবু শীতল চন্দ্র ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল কবির ভূঁইয়া এবং আরো অনেকে। তার বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে দ্বিতীয় পর্বে,,,
Leave a Reply